রাজধানীর হাজারীবাগ ও কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং অপর দুইজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে র্যাব।
Advertisement
র্যাব জানায়, সোমবার ভোরে হাজারীবাগের শিকদার মেডিকেলের পাশে বন্দুকযুদ্ধে সুমন (২২) নামে অস্ত্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।
হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউছার আহমেদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয় সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই কাউছার আরও জানান, সুমনের বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
Advertisement
এদিকে সোমবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া উত্তর শীলখালি মেরিন ড্রাইভ সড়কে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, টেকনাফের সাবরাং লেজিরপাড়ার বশির আহমদের ছেলে আবদুর রহমান (৪২) ও রামুর গোয়ালিয়াপাড়া কুনিয়া গ্রামের কবির আহমদের ছেলে ওমর ফারুক (৩১)। এ ঘটনায় র্যাবের নায়েক আবদুর রহমান, সৈনিক লিটন ও নুরুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
র্যাবের দাবি, নিহতরা শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি বিদেশি পিস্তল, চার হাজার পিস ইয়াবা, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, র্যাব-২ এর কাছে খবর ছিল, টেকনাফ থেকে ইয়াবার একটি চালান প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। এই খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল আগে থেকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকারকে থামার সংকেত দেয়।
Advertisement
কিন্তু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গাড়িতে থাকা ইয়াবা কারবারিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু এরমধ্যেই তারা মারা যান।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, র্যাবের একটি দল গুলিবিদ্ধ দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন ছিল। আহত র্যাব সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা এসপি মহিউদ্দন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ থেকে মাদকের বড় বড় চালান ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করত তারা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এআর/সায়ীদ আলমগীর/বিএ/পিআর