চার বছর ঘরের মাঠে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে এবং তিলকারত্নে দিলশানদের একসঙ্গে অবসরের কারণে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য। অবশেষে সেই জয়টা এলো লঙ্কানদের ঘরে।
Advertisement
ঘরের মাঠে অবশেষে তারা সিরিজ জয় করতে পারলো। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের দলকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হেসে-খেলে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। হাতে ছিল তখনও ৩২ বল। অর্থ্যাৎ, ৫.২ ওভার। আভিসকা ফার্নান্দো আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ব্যাটেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিকরা।
২০১৫ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ ঘরের মাঠে সিরিজ জিতেছিল লঙ্কানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর গত ৪৪ মাসে আর ঘরের মাঠে সিরিজ জেতা হয়নি শ্রীলঙ্কার। অথচ এর মধ্যে ঘরের মাঠে ৬টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল তারা। অবশেষে এবারের বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো লঙ্কানরা। এখনও বাকি আছে এক ম্যাচ। ওই ম্যাচেও জিততে পারলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে তারা।
মাত্র ২৩৯ রানের লক্ষ্য। ঘরের মাঠে এই লক্ষ্য পাড়ি দেয়া খুব বেশি কঠিন কিছু নয় শ্রীলঙ্কার জন্য। আগের ম্যাচেই তো এই মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১৪ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিল স্বাগতিকরা। আজ তো করতে হবে কেবল ২৩৯ রান।
Advertisement
জয়ের জন্য ২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার। আভিসকা ফার্নান্দো আর দিমুথ করুনারত্নের দৃঢ়তায় শুরুতেই ৭১ রানের বড় জুটি গড়ে ওঠে।
মিরাজ, শফিউল, তাইজুল কিংবা মোস্তাফিজুর রহমান- কোনো বোলারকে দিয়েই ব্রেক থ্রুটা আনতে পারছিলেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শেষ পর্যন্ত পারলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজই এনে দিলেন ব্রেক থ্রুটা।
ইনিংসের ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের ঘূর্ণির কাছে পরাস্ত হলেন লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে। ২৯ বল খেলে তিনি তখন ছিলেন ১৫ রানে। মিরাজের ছোড়া বলটি করুনারত্নের প্যাডে লেগে গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি।
১২৯ রানের মাথায় আউট হন আভিসকা ফার্নান্দো। ৭৫ বল খেলে তিনি করেন ৮২ রান। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ২টি। এছাড়া কুশল পেরেরা করেন ৩৪ বলে ৩০ রান। তাকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর অবশ্য আর লঙ্কানদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি টাইগাররা।
Advertisement
৭৪ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মেন্ডিস। তার সঙ্গে ৫৭ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। এ দু'জনের ব্যাটেই চলে এলো ৭ উইকেটের কাংখিত জয়। ২৩৯ রানের জায়গায় করলো তারা ২৪২ রান। মোস্তাফিজ ২টি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ১টি উইকেট।
আইএইচএস/