ক্রিকেটেই দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বিনিময় হতো সবচেয়ে বেশি। কারগিল যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট। কিন্তু সেই ক্রিকেটই এখন অপাঙতেয়। এই খেলাটি দিয়ে আর দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে না। বিশেষ করে ভারতই ক্রিকেটে একের পর এক পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে আসছে।
Advertisement
অবশেষে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সফর বিনিময় হচ্ছে। তবে সেটা ক্রিকেটে নয়, টেনিসে। তাও এই খেলায় পাকিস্তানের মাটিতে ৫৫ বছর পর খেলতে যাচ্ছে ভারত।
৫৫ বছর পর প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে ডেভিস কাপ টাই খেলতে যাবে ভারত। সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদে পাকিস্তান স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এশিয়া ও ওসিয়েনিয়া গ্রুপ-ওয়ানে ভারত-পাক টাইয়ের কথা শনিবার নিশ্চিত করে জানিয়ে দেয় অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন।
এআইটিএ সচিব হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ডেভিস কাপ টাই খেলতে আমরা পাকিস্তানে যাব। এটা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ নয়, এটা আসলে টেনিসের বিশ্বকাপ। সুতরাং এর সঙ্গে আমরা সমঝোতা করতে পারব না।’
Advertisement
ভারতীয় টেনিস দলের এই পাকিস্তান সফর দু’ দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এক দিগন্ত খুলে দিতে পারে। কারণ ভারত-পাক দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হিসেবে এই ডেভিস কাপ টাই-কে প্রাথমিক ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস কমিউনিটির চাপ সত্ত্বেও পাকিস্তানি শুটারদের ভারতে আসার ভিসা দেয়নি মোদি সরকার। তবে গত মাসে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় পাকিস্তানি অ্যাথলেটদের ভারতে কোনও ইভেন্টে যোগদানের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হবে না।
ডেভিস কাপের অনুমিত মিললেও অদূর ভবিষ্যতে কি বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ দেখা যাবে? গত ১২ বছরে পাকিস্তান সফরে যায়নি টিম ইন্ডিয়া। শেষবার ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছে ২০০৭ সালে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতলে ওয়ার্ল্ড গ্রুপে খেলার ছাড়পত্র পাবে ভারত।
পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় ডেভিস কাপে দল খেলার আগে ভেন্যু ও সিকিউরিটি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ)। এ ব্যাপারে এআইটিএ সচিব বলেন, ‘চলতি মাসের ২২ তারিখ ইসলামাবাদে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল আইটিএফ। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশনকে সব কিছু বিস্তারিত পাঠানো হবে বলেও জানান এআইটিএ সচিব। পিটিএফ-এর তরফে আমন্ত্রণ পত্র আসার পরই খেলোয়াড়দের ভিসার জন্য আবেদন করবে এআইটিএ। ভিসা সংক্রান্ত বিষয়টি মিটতে সময় লাগবে প্রায় চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ।
আইএইচএস/
Advertisement