ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উখিং নু নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীর মৃত্যুর পর ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লিনার, সুইপার ও মালিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিনই মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস। এছাড়া মেডিকেল সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের জন্য যন্ত্রপাতি কেনারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। এদিন ছাত্রীদের সকল আবাসিক হলে স্প্রে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সোমবার ছাত্রদের হলসহ ক্রমান্বয়ে সকল ভবনেই স্প্রে করা হবে বলে জানিয়েছে এস্টেট অফিস।
মুখ্য উদ্যানতত্ত্ববিদ ও এস্টেটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে হল, আবাসিক এলাকা ও বিভাগে এ কার্যক্রম চালাব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ দায়িত্বরত সকলে বর্জ্য অপসারণের কাজ করে যাচ্ছে।’
Advertisement
আরও পড়ুন> এবার ডেঙ্গু কেড়ে নিল জাবি ছাত্রীর প্রাণ
এদিকে ডেঙ্গু আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে জন্য শিক্ষার্থীদের ভিড় বেড়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কর্তব্যরত ডাক্তাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মেডিকেল সেন্টারে শুধু প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও ডেঙ্গু শনাক্তের অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনার জন্য প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মেডিকেল সেন্টারের তথ্য মতে, গত দুই সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮-১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শামছুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগই আতঙ্কিত হয়ে আসছেন। আজ (রোববার) প্রায় ৭০ জনের প্লাটিলেট পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে দুইজনের প্লাটিলেট স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহে আমরা মোট ৮-১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে ২-৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
Advertisement
এসব বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।
ফারুক হোসেন/এমবিআর/পিআর