সরকারি হাসপাতালের ভিতরে রোগীদের জন্য ন্যায্যমূল্যের ওষুধের ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ/স্থাপন কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ফার্মেসি ও রেস্টরেন্ট স্থাপন/বরাদ্দ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালার পরিবর্তে যুগোপযোগী একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করায় সাময়িকভাবে স্থগিত করার এ নির্দেশনা জারি করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল-৩ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন রোববার এ সংক্রান্ত জারিকৃত এক তাগিদপত্রে নতুন নীতিমালা চূড়ান্তভাবে প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ফার্মেসি ও চা-নাস্তার দোকান বরাদ্দ/স্থাপন কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আট শতাধিক হাসপাতাল রয়েছে। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের স্বার্থে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের ফার্মেসি ও খাবারের রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বহু বছরের পুরোনো নীতিমালা অনুসারে নামমাত্র ভাড়ায় ওষুধের দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলো চলছে। বর্তমান বাজার মূল্যে বিবেচনায় বাইরের ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্টের ভাড়া কয়েকগুণ বেশি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, ভাড়া কম হওয়ায় সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের অভ্যন্তরে ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হচ্ছে।অনুমোদন প্রদানের জন্য ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক ও চিকিৎসক নেতাদের মাধ্যমে তদবির ও সুপারিশ করা হচ্ছে। রোগীদের স্বার্থে ফার্মেসি ও রেস্টুরেন্ট করা হলেও ওষুধ ও খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর কোনো ভূমিকা নেই।ফলে রোগীদেরকে বাইরের ফার্মেসি বা রেস্টুরেন্টের মতো দামেই খাবার ও ওষুধ কিনতে হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা নতুন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।এমইউ/বিএ
Advertisement