শিক্ষা

আশ্বাসও পাননি আন্দোলনরত প্রাথমিকের শিক্ষকরা

রাজপথে টানা ৪৩ দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ২৬ দিন ধরে চলছে আমরণ অনশন। আন্দোলনে ২৬৪ শিক্ষক অসুস্থ ও ১৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস পাননি তারা। আন্দোলনকারীদের ভাগ্যে কী আছে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ৪৩ দিন ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছি। খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় দিন-রাত পার হচ্ছে। বৃষ্টি এলে ভিজে যাচ্ছি, সেই ভেজা কাপড়েই থাকতে হচ্ছে, তার উপরে ডেঙ্গুর উপদ্রব। এতে আমাদের অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। একজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আর কত প্রাণ গেলে সরকার আমাদের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি দেবেন?

তারা বলেন, আন্দোলনে এসে এ পর্যন্ত ২৬৪ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিজ বাড়ি পাঠানো হয়েছে। মশার কামড়ে ১৫ শিক্ষক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মা, তিনি আমাদের অন্ন-বস্ত্রের নিশ্চয়তা দিতে পারেন। মানবিক বিবেচনায় দেশের চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান তারা।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাাদক আ স ম জাফর ইকবাল জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস টুকুও দেয়া হয়নি। গত বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ আশ্বাস টুকু শিক্ষকদের সামনে এসে বলার প্রস্তাব করলে তাতে রাজি হননি তিনি।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব বিপ্লব বড়ুয়া আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দেবেন বলে জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩০০ মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য যাচাই-বাছাই করা হলেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। এমএইচএম/এএইচ/পিআর