খেলাধুলা

আরও একটি এভারেস্টের চূড়ায় মুশফিক

এক প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়ছে, অন্যপ্রান্তে দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন একজন। এমন লড়াই তিনি আজ নতুন নন, এর আগেও অনেকবার করেছেন। তবে বাংলাদেশের বিপদের মুহূর্তে এ ধরনের লড়াইয়ের অবশ্যই মূল্য আছে। দলকে যে চরম লজ্জার হাত থেকেও রক্ষা করেছেন তিনি!

Advertisement

মুশফিকুর রহীম। ক্যারিয়ারের লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে আজ তিনি পৌঁছে গেলেন আরও একটি এভারেস্ট উচ্চতায়। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি পৌঁছে গেলেন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের উচ্চতায়। মুশফিকের আগে তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান পার হয়েছিলেন ৬ হাজার রানের গণ্ডি।

৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে মাত্র ৮ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর মাঠে নেমে ২০তম বল খেলেই, ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই ছয় হাজার রানে পৌঁছে যান মুশফিক।

এরপর অবশ্য থেমে থাকেননি বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে। ৭১ বল খেলে মাত্র ২টি বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান মুশফিক।

Advertisement

আগের ম্যাচেও দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। করেছিলেন ৬৭ রান। আজও লঙ্কান বোলারদের সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মুশফিকুর রহীম ব্যাট করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি তিনি পূরণ করেছেন।

তবে দারুণ এক সেঞ্চুরি মিস করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি ৯৮ রানে। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি পূরণ করতে পারেননি। ১১০ বলে ৬ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী

খেলোয়াড়

Advertisement

ম্যাচ

ইনিংস

রান

সর্বোচ্চ

গড়

স্ট্রা. রে

১০০

৫০

তামিম ইকবাল

২০৩*

২০১

৬৮৯০

১৫৪

৩৫.৬৯

৭৭.৭৭

১১

৪৭

সাকিব আল হাসান

২০৬

১৯৪

৬৩২৩

১৩৪*

৩৭.৮৬

৮২.৭৫

৪৭

মুশফিকুর রহীম

২১৫*

২০১

৬০৯০

১৪৪

৩৬.৪৬

৭৯.০৬

৩৭

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

১৮৪*

১৫৯

৩৯৮৫

১২৮*

৩৪.০৫

৭৬.৪৮

২১

মোহাম্মদ আশরাফুল

১৭৫

১৬৮

৩৪৬৮

১০৯

২২.৩৭

৭০.১১

২০

আইএইচএস/পিআর