রাজধানী ঢাকায় এখন প্রধান আলোচনার বিষয় ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগ ঢাকাবাসীর জন্য প্রধান আতঙ্ক। নানা পদক্ষেপ নিয়েও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জ্বর হওয়া মাত্রই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।
Advertisement
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে চিকিৎসক উত্তম কুমার এ পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘জ্বর হওয়া মাত্রই চিকিৎসকের কাছে আসবেন। ডেঙ্গু হোক কিংবা অন্য কোনো জ্বর হোক, চিহ্নিত করে আমরা ব্যবস্থা নেব। জ্বর হলে আপনারা ঘরে বসে থাকবেন না।’
ডেঙ্গু রোগের ধরন পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) যুগ্ম মহাসচিব উত্তম কুমার বড়ুয়া। বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু রোগীদের রক্তের খুব একটা প্রয়োজন হচ্ছে না। আগে ডেঙ্গু রোগী মানেই ছিল প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যেত এবং রক্তের ব্যাগ নিয়ে আমাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হতো। এবার সেই অবস্থা একেবারেই নেই বললে চলে।’
প্রতি বছর এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের চারটি ধরন আছে। রোগীরা এখন একেক ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে। আপনার যে রি-ইনফেকশন, ক্রস-ইনফেকশন বা মাল্টি ইনফেকশন, আগে একবার হয়েছে, দ্বিতীয়বার হয়েছে, এখন তৃতীয়বার হচ্ছে। যার কারণে কমপ্লিকেশনগুলো বেশি আসছে।’
Advertisement
অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘জটিল ডেঙ্গুর যে চরিত্র বা এটি পরিবর্তন হয়ে পুনরায় ইনফেকশনের কারণে কমপ্লিকেশনগুলো সামনে আসছে। পেটে পানি জমা, ফুসফুসে পানি জমা, বমি হওয়া, লিভারে সমস্যা, কিডনিতে সমস্যা, মস্তিষ্কে সমস্যা, হৃদরোগের সমস্যা এগুলো হচ্ছে। এ ধরনের লক্ষণ যাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তারা ঝুঁকিতে আছেন। এবার প্লাটিলেট কমার আগেই অন্য জটিলতাগুলো দেখা দিচ্ছে। যেগুলো আমাদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে।’
ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণের উপায় জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ ছাড়ায় এডিস মশা। সবচেয়ে উত্তম পন্থা এডিস মশার বিস্তার বন্ধ করা। এরপর প্রতিরোধ করা। শিশু, বৃদ্ধ মা-বাবা, গর্ভবতী নারী, হৃদরোগী, ক্যান্সার, কিডনি, ডায়াবেটিসের রোগী- এসব রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।’
পিডি/আরএস/জেআইএম
Advertisement