দেশজুড়ে

পটুয়াখালীতে ১০ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

পটুয়াখালীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১৬ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিনে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী।

Advertisement

এদিকে হঠাৎ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলার সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তারা হলেন- সদর উপজেলার ভুড়িয়া এলাকার সুভাষ বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস (১৮), জৈনকাঠী এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ (২০), মৌকরন এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে সোহাগ কবির (৩৪), দুমকী উপজেলার কাঞ্চন প্যাদার ছেলে দেলোয়ার (৪০), বাউফলের কার্তিক পাশা এলাকার আব্দুল মান্নান শরীফের ছেলে এনামুল হক (৪৪), বাউফলের ভায়লা এলাকার রহিম খানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান (৫৫), শহরের কলাতলা এলাকার আবুল কালাম ফকিরের ছেলে রাকিবুল হাসান (২৭)।

এছাড়া ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসেন সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকার খালেক প্যাদার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (৬০) এবং টাউন কালিকাপুর এলাকার চেরাগ আলী আকনের ছেলে আনিসুর রহমান (৫৫)।

Advertisement

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আম্বিয়া বেগম বলেন, তিনি ঢাকা বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পটুয়াখালী আসেন।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ রোগ নির্মূলে কোনো টিকা নেই, তাই এক্ষেত্রে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য নেই কোনো আলাদা সেল। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গেই রাখা হচ্ছে তাদের। বেড না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত সুব্রত বিশ্বাস বলেন, তিনি করিম মৃধা কলেজের শিক্ষার্থী। হঠাৎ জ্বর হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান। রক্ত পরীক্ষা করে তিনি বলেছেন ডেঙ্গু হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

Advertisement

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অনিন্দ দাস গুপ্ত বলেন, ডেঙ্গু হলে সব ধরনের ব্যাথার ওষুধ বন্ধ। এ রোগের মূল চিকিৎসা পানি। এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আমরা স্যালাইন দেই ও মশারির মধ্যে রাখি। যাতে নতুন করে অন্য কাউকে ডেঙ্গু মশা কামড়াতে না পারে। এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে মোট ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে রক্তের তিনটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা এ হাসপাতালে আছে। কিন্তু কিট এবং রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকায় এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। রোগীরা এটি বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে করাচ্ছেন।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএমজেড/এমএস