ঈদে ঘরমুখী মানুষজনের টিকিট সংগ্রহ নিয়ে বিড়ম্বনা যাচ্ছেই না। এটা খুবই দুঃখজনক। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগামী বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করে পরিবহন কোম্পানিগুলো। আগামী ১১ বা ১২ আগস্ট সম্ভাব্য ঈদ ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে যথারীতি টালবাহানা। সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্র। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাচ্ছে না যাত্রীরা। আবার বেশি টাকায় কালোবাজারিতে তা পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই। এ নৈরাজ্যকর অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
Advertisement
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নানা ধরনের বিড়ম্বনা সইতে হয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গন্তব্যে যাওয়ার কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়া। আশা করা গিয়েছিল এবার টিকিট প্রাপ্তির বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাবে যাত্রীরা। কিন্তু অবস্থা তথৈবচ। আমরা পূর্বেও এ সম্পাদকীয় স্তম্ভে যাত্রীদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কথা বলেছি। কিন্তু অবস্থার যে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি, সেটা তো পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে।
যদিও সরকার বলছে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও কালোবাজারি রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন মানুষজন যাতে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। যানবাহনের মালিকদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই টিকিট সংগ্রহ করতে পারুক যাত্রীরা।
এছাড়া এবার যাত্রাপথের ভোগান্তি নিয়েও শঙ্কিত যাত্রীরা। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের অবস্থা করুণ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ গর্ত। অথচ ২০টি জেলার লোকজন এই পথে যাতায়াত করেন। তাছাড়া ঈদুল আজহায় গরুবাহী ট্রাকও আসে এই রাস্তায়। কাজেই ঈদমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
Advertisement
এইচআর/এমএস