সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী প্রিয়া সাহাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার দায় অস্বীকার করল মার্কিন প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।
Advertisement
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রিয়া সাহার যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার স্পন্সর করেনি আইআরআই। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কিত তার দেয়া বক্তব্য অসত্য বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৬-১৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের আয়োজনে দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের দ্বিতীয় দিন অন্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।
ওই সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ‘ডিসঅ্যাপিয়ার্ড’ বা গুমের শিকার হয়েছে। এ বিষয়ে তার সহায়তা চান প্রিয়া সাহা। তার দেয়া তথ্য কল্পনাপ্রসূত বলে সরকারের পক্ষ থেকে যেমন প্রতিবাদ জানানো হয় তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
Advertisement
তবে সরকারি পরিসংখ্যানের আলোকেই তিনি এই চিত্র তুলে ধরেছেন বলে পরে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান প্রিয়া। আইআরআইয়ের নিমন্ত্রণে তিনি ওয়াশিংটন যান বলেও দাবি করেন। প্রিয়া সাহার দাবির প্রেক্ষাপটে আইআরআই জানিয়েছে, তারা প্রিয়া সাহার স্পন্সর ছিল না। এ বার্তা-সংক্রান্ত চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ‘মিনিস্ট্রিয়াল টু অ্যাডভান্স রিলিজিয়াস ফ্রিডম’- এ প্রিয়া সাহাকে আইআরআই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মর্মে তিনি (প্রিয়া সাহা) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রতিষ্ঠানটির নজরে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে চায়, (আইআরআই) প্রিয়া সাহার ওয়াশিংটন সফরের স্পন্সর করেনি।
প্রিয়া সাহার সঙ্গে আইআরআই কোনো কাজ করে না বা কোনোভাবে যুক্ত নয় বলে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিয়া সাহার বক্তব্য ‘অসত্য’ বলেও মনে করে আইআরআই। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, আইআরআই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককে সবসময় গুরুত্ব দেয়। তারা বাংলাদেশে সুশাসন ও নাগরিককেন্দ্রিক রাজনীতির প্রসারে কাজ করে যেতে চায়।
তবে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আইআরআই নয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রিয়া সাহা।
Advertisement
জেপি/এসআর/এমএস