দেশজুড়ে

খেলতে নামলে কাউকে মানবো না : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমার মনে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে খেলা চলছে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এই ঘাঁটিকে ভাঙার জন্য অনেকে মিলেই খেলা খেলছেন। যেহেতু অনেকে মিলেই খেলা খেলছেন হয়তো আমাকে রাস্তায় নামতে হবে। যারা খেলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি, বয়স ৫৮ বছর হয়ে গেছে, মানসিকভাবে এখনও ১৮ বছর রয়ে গেছে। আমরা যখন খেলতে নামবো তখন কাউকে মানবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে মানি না আর মানবো না।

Advertisement

শনিবার দুপুরে বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, এখন সবাই নিজেকে আওয়ামী লীগ মনে করে। ’৭৫ এর আগেও এ রকম অনেক নাটক হয়েছিল। নাটক যত বেশি হবে তত বেশি পেছন থেকে আঘাত হানবে। জামায়াত-বিএনপি কোনো শক্তিশালী দল না। তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারবে না। ক্ষতি নিজের দলের লোকেরাই করে। বর্তমানে অনেকেই আওয়ামী লীগের ধারক-বাহক সাজতে চান। আমি অপরাধ করেছিলাম গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এজন্য আমার ওপর বোমা হামলা হয়েছিল। দেশে প্রথম আরডিএক্স বোমা হামলা হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান শব্দগুলোকে খুব ঘৃণা করি। এসব বিষয়ে কেন কথা বলা হবে। এসব বিষয় নিয়ে তখনই কথা হয় যখন আপনি নিজেকে সংখ্যালঘু ভাববেন। এজন্য আপনি নিজেই দোষী। কেন চিন্তা করবেন আপনি সংখ্যালঘু। আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙালি। আমরা ধর্মকে ভালোবাসি। আপনি আপনার ধর্মকে ভালোবাসেন। যারা পরকাল বিশ্বাস করে না তারাই ধর্ম কর্ম মানে না। স্রষ্টাকে খুশি করার জন্য ধর্মকে মানতে হবে। আগে এটা বিশ্বাস করতাম না। ২০০১ সালের পর থেকে বিশ্বাস করি।’

Advertisement

শামীম ওসমান আরও বলেন, কোথাকার কোন প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি বাংলাদেশের কর্তা। ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের প্রভু না, বাংলাদেশের প্রভু হচ্ছে দেশের জনগণ। সেই জনগণ অভিভাবক বানিয়েছে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনাকে। কারও জবাব দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হননি। সবাই যখন এটাকে সমস্যা মনে করছে, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার আফসোস। ওই মহিলা নিজ থেকে ওইসব কথা বলেন নাই, কারও কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বলেছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থেও ওইসব কথা বলে থাকতে পারেন। গোয়েন্দা সংস্থারও হাত থাকতে পারে। যে গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু শ্রেণি আছে। সুশীল শ্রেণি আর কুশীল শ্রেণি। আমরা কুশীল আর কেউ সুশীল। তারা নিজেদের সুশীল দাবি করে। বাংলাদেশে সুশীল-কুশীলের খেলা চলছে। সামনে আরও খেলা আছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি শ্রী জয়ন্ত সেন দীপু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী সাগর হালদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement