বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। কিন্তু বিতর্কের রেশ যেন কাটছেই না। একটি সিদ্ধান্ত, কুমার ধর্মসেনার একটি সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এমন একটি বিষয় কি চাইলেই এত সহজে আড়াল করে দেয়া যায়?
Advertisement
২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এত নাটকীয়তা আর কখনও কি দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব? মূল ম্যাচে টাই, সুপার ওভারেও টাই। তারপর বাউন্ডারির হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো ইংল্যান্ডকে। যে নামটি হতে পারতো নিউজিল্যান্ডেরও।
হ্যাঁ, এই ম্যাচটি তো সুপার ওভারে গড়ানোর কথাই ছিল না। শেষ ৩ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৯ রান। এমন সময়ে 'ওভারথ্রো'তে বাউন্ডারি হলে দৌড়ে নেয়া ২ রানসহ ৬ রান দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। যেটি আসলে ৫ রান হওয়ার কথা ছিল। ৫ হলে তো নিউজিল্যান্ড মূল ম্যাচেই জিতে যেতো।
যেহেতু দুই রান পূর্ণ হওয়ার আগেই থ্রো হয়েছে, ধর্মসেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই আলোচনাটা এখনও চলছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা তো বলছেনই, সাইমন টোফেলের মতো আম্পায়ারও মনে করছেন, মাঠে ভুল হয়েছে। যদিও লঙ্কান আম্পায়ার ধর্মসেনা আত্মপক্ষই সমর্থন করেছেন। ওই সিদ্ধান্তে তার কোনো অনুতাপ নেই বলেই জানান তিনি।
Advertisement
এবার ধর্মসেনার ঢাল হয়ে দাঁড়ালো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির মতে, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই আম্পায়ার। এখানে ভুল কিছু হয়নি।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস বলেন, ‘থ্রোয়ের সময় ব্যাটসম্যান নিজেদের ক্রস করেছেন কিনা, বিচারের দায়িত্বটা তাদের (অনফিল্ড-আম্পায়ার) উপর ছিল। ওই ডেলিভারিতে যা কিছু হয়েছে, তারা একসঙ্গে সঠিক প্রক্রিয়াতেই বিবেচনা করেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তারা সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন।’
ম্যাচ অফিসিয়ালদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বেলায় নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকে না। তারপরও কেন তারা তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হলেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিসির ওই কর্তা বলেন, ‘তারা নিয়মটা জানতেন, ব্যাটসম্যান ক্রস করেছে নাকি করেনি, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খেলার আইন অনুযায়ী এই ধরনের সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে দেয়া যায় না। আর ম্যাচ রেফারিও এতে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না, যেহেতু এটা অন ফিল্ড আম্পায়ারদের দায়িত্ব।’
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement