বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য তার ছিল না। কিন্তু ব্যাংক থেকে চাপ আসতো প্রতিদিন। তাই দিল্লির ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে ছিল তার মেয়ে।
Advertisement
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে ছাদ থেকে লাফ দিতে দেখে সুরেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী মনজিৎ কৌরও লাফ দেন। তবে ঘটনাক্রমে মা-মেয়ে বেঁচে গেছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের বরাতে এনডিটিভি বলছে, সুরেশ কুমার ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দিল্লির জগতপুরি নামক এলাকায়। গত সোমবার রাত ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান সুরেশ। তারপর দু’হাতে মেয়েকে জড়িয়ে সেখান থেকে লাফ দেয়।
সুরেশ যখন মেয়েকে নিয়ে ছাদে যাচ্ছিল তার ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী মনজিত কৌর তাকে অনুসরণ করে ছাদে উঠে যান। কিন্তু ছাদে ওঠার পরপরই মেয়ে সঙ্গে স্বামীকে লাফ দিতে দেখে তিনিও ছাদ থেকে লাফ দেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও মনজিত ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে গেছেন।
Advertisement
পুলিশের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে মৃত সুরেশ কুমারের স্ত্রী মনজিত কৌর বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্বামীর বেশে কিছু ক্রেডিট কার্ড ছিল। ওইসব কার্ডে তার ৮ লাখ রুপি ঋণ ছিল। অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসতো। কিন্তু তা পরিশোধের সামর্থ ছিল না তার স্বামীর।
পাশের বাড়ির মানুষজন মাটিতে রক্তাক্ত তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা সুরেশকে মৃত ঘোষণা করে। মা-মেয়ের চিকিৎসা চলছে।
এসএ/এমএস
Advertisement