মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে নারীরা এগিয়ে আসছে। কর্পোরেটের এইচআর বিভাগে নারী তার যোগ্যতা দিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুটি দেশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা দেখছেন আকলিমা ইয়াসমিন। বর্তমানে বেস্টসেলারের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পিপলস বিজনেস পার্টনার হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাগো নিউজের সাথে আলোচনায় উঠে এসেছে তার কর্মকাণ্ডের নানা বিষয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার—
Advertisement
আপনার ক্যারিয়ার সম্পর্কে বলুন—আকলিমা ইয়াসমিন: কাজ করছি বেস্টসেলারের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বেস্টসেলার অংশের পিপলস (মানবসম্পদ) বিজনেস পার্টনার হিসেবে। অন্যান্য ডিগ্রির পাশাপাশি সর্বশেষ আমেরিকার প্রফেশনাল হিউম্যান রিসোর্সেস (এইচআর) সার্টিফিকেশন ইনস্টিটিউশন থেকে অর্জন করেছি সার্টিফাইড পিএইচআরআই।
কর্মক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন— আকলিমা ইয়াসমিন: বেস্টসেলারের বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অংশের হিউম্যান রিসোর্স পলিসি, রিক্রুটমেন্ট, কর্মী উন্নয়ন, সিএসআর ইত্যাদি বিষয়াদি বড় দাগে এবং মানবসম্পদ সম্পর্কিত অন্যান্য সব বিষয়সহ প্রাতিষ্ঠানিক ভিশন, মিশন সম্পন্নকরণে সাধ্যমত মেধার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন > সবাই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে
Advertisement
একজন নারী হিসেবে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন?আকলিমা ইয়াসমিন: অনেক ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন, নারীরা সৌন্দর্য দিয়ে কর্পোরেট জগতে শীর্ষস্থানে যাচ্ছে। তাদের বলছি, বস্তুত শীর্ষে ওঠার জন্য নলেজ ও স্কিল ব্যতীত উপায়ন্তর নেই। একজন নারী হিসেবে বলব, কাজের ক্ষেত্রে নারীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান অর্জনের জায়গাটা মেধা ও আত্মসম্মানবোধ দ্বারাই তৈরি করে নিতে হয়।
বর্তমান পরিকল্পনা কী?আকলিমা ইয়াসমিন: নিজেকে একজন গ্লোব্যাল এইচআর প্রফেশনাল হিসেবে বলিষ্ঠভাবে প্রকাশ করতে চাই। তাছাড়া বাংলাদেশের সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের জন্য ইতোমধ্যে সেমিনার বা ওয়ার্কশপ শুরু করেছি। দু’চারজন সমমনা প্রথিতযশা পেশাজীবীর সাথে যার বিস্তার পুরো ৬৪ জেলাব্যাপী হবে আশা রাখি। তাছাড়া কিছু মৌলিক এইচআর পাবলিকেশনে নিজেকে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছে আছে।
বৈদেশিক জব মার্কেটে তাল মেলানো কতটা কঠিন?আকলিমা ইয়াসমিন: আমি বলবো, ততটা কঠিন নয়। নিজের প্রতি বিশ্বাস আর অধ্যবসায় বজায় রেখে নলেজ, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রেজেন্টেশন স্কিল, লিডারশিপ কোয়ালিটি এবং সত্যিকারার্থে গ্লোবাল এরিনায় কাজ করার আগ্রহ থাকলে এখানে তাল মেলানো খুব কঠিন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত রেখে নিজের ছাড়িয়ে যাবার স্পৃহা থাকলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে একজন মানসম্পন্ন কর্মী হিসেবে প্রস্তুত করাই যায়। এজন্য দরকার নিজস্ব স্বকীয়তা এবং দায়িত্ববোধের অসংকোচ প্রকাশ।
আরও পড়ুন > বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো মেঘলার
Advertisement
তরুণদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন—আকলিমা ইয়াসমিন: বিদ্যার্জনের পাশাপাশি নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ইংরেজি ও পাশাপাশি অন্য কোন ভাষায় দক্ষতা অর্জন করলে তারা বেশ সুবিধা পাবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি আইসিটি স্কিলসহ অন্যান্য বিষয়ে টার্গেট সেট করে দক্ষ এবং কর্মক্ষম হয়ে উঠতে হবে। অধ্যয়নের পাশাপাশি কর্মদক্ষতা এ যুগে অপরিহার্য। একটা কথা বলি, ‘Nothing comes easy, set your dream, work for it.’
এসইউ/জেআইএম