অর্থনীতি

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি : হুমকির মুখে পড়বে বিভিন্ন শিল্প

গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হলে দেশের বিভিন্ন শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক মানের শিল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ।রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড ক্যাপটিভ পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যনুফেকচারর্স অ্যাসোসিয়েশন।বর্ধিত মূল্য কার্যকর হলে শিল্পক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার আমদানী নির্ভরশীল হবে। যা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ এমন মন্তব্য করে শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ বলেন সরকার যদি বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না করে তাহলে জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও আমরা ঘেরাও করবো।তিনি বলেন, বিগত দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিলো। এখানে যেহেতু জ্বালানী তেলের দাম সর্বনিম্নে সেহেতু বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধি অযৌক্তিক।মাসাদুল আলম জানান, স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পে বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যহার না বাড়িয়ে আগের অবস্থান নির্ধারণ করা ও রি-রোলিং শিল্পে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নতুন মূল্যহার এবছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করতে হবে।ক্যাপটিভ পাওয়ার বাঁচিয়ে রাখতে পূর্বেকার ৪ দশমিক ১৮ টাকা প্রতি ঘনমিটার গ্যসের মূল্য নির্ধারণ করা, ডিপিডিসি, আরআইবি এবং ডেসকোর মূল্যহার সমান করা, স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য হ্রাস করার দাবিও জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জেনারেল মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড ক্যাপটিভ পাওয়ার প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল প্রমুখ।আএসএস/একে/আরআইপি

Advertisement