এমনিতে আপনি ভালো মানুষ, সম্পর্কের ব্যাপারে বরাবরই সিরিয়াস। কিন্তু কোনো সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না, ভেঙে যাচ্ছে বারবার। প্রতিবারই ভাবছেন, এবারের সম্পর্কটা টিকে যাবে নিশ্চয়ই! কিন্তু বছর না গড়াতেই দু’জনের দুটি পথ আলা হয়ে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত হৃদয় ভাঙার বেদনা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে।
Advertisement
যেসব মেয়ের জীবনে এমন পরিস্থিতি বারবার আসে, তারা বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে ক্রমাগত সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে তাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষটিকে দায়ী করা হয়, অথবা মনে করা হয় সম্পর্কটাতে আদৌ টান কিংবা দায়িত্ববোধ ছিল না।
সত্যিই কি তাই? নাকি অন্য কিছু? একটু নিরপেক্ষভাবে ভেবে দেখুন তো, আসলে আপনিই সব ঝামেলার মূলে নন তো? সাধারণত যেকোনো সমস্যায় আমরা নিজেদের দোষ দেখতে পাই না, অপরপক্ষেরই দোষ দেখি, তা এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটছে না তো?
এই স্বভাবগুলোই মূলত সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ী। মিলিয়ে নিন, এগুলো আপনার মধ্যে আছে কি না-
Advertisement
খামখেয়ালি: এই ভালো তো এই মন্দ। এই ঝলমলে রোদ তো এই গুমোট মেঘ। আপনার মনমেজাজের কি কোনো ঠিকঠিকানা থাকে না? এই ভালো মেজাজ, তো ওই তিরিক্ষি হয়ে যান? আপনার মনের হদিশ পেতে নাজেহাল হয়ে যেতে হয় সঙ্গীকে? সে ক্ষেত্রে কিন্তু একটা সময়ের পর আপনার সঙ্গী নিজের মধ্যে গুটিয়ে যাবেন এবং তারপর সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখা নিয়েও খুব একটা উৎসাহ দেখাবেন না।
একরোখা মনোভাব: জেদ এমন একটি বিষয় যা দুজন মানুষকে সহজেই দূরে ঠেলে দিতে পারে। জেদ ধরে থাকলে যে কোনো সম্পর্কেই সমস্যা দেখা দেয়, আর প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া তো মোটেই আশ্চর্যের নয়। একটু ভেবে দেখুন তো, যেকোনো ছোটখাটো বিষয়েও কি আপনি নিজের মতেই অনড় থাকেন? আপনার সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে, এমন জেদ করেন কি? তেমন হলে কিন্তু আপনার পক্ষে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন।
অতিরিক্ত গোপনীয়তা: সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে খোলা মনের হওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি কি নিজের সমস্ত বিষয় লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন? এমনকী, যে সব কথা স্বামীকে জানানো দরকার, সেসবও জানান না? কোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্বামীকে অন্ধকারে রেখে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন? আপনার সম্পর্ক কেন টিকছে না, এবার নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারছেন।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement