গণপিটুনি বন্ধ করতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম নারীদের অধিকারের কথা বলে মোদি সরকার তিন তালাকে শাস্তির বিল আনছে। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি, বিশেষ করে ভিড় জমিয়ে মুসলিমদের মারধর ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ সত্ত্বেও আইন আনছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন তালাক বিলের বিতর্কে বিরোধী দলের এমপিরা মোদি সরকারকে এ নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন হচ্ছে না অভিযোগ তুলে একটি সংগঠন এ নিয়ে জনস্বার্থে মামলা করে। শনিবার এর ভিত্তিতেই দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ কেন্দ্র ও ১০টি রাজ্যের কাছে জবাব চেয়েছেন।
এক বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ সুপারিশ করেছিলেন, দেশে গণপিটুনি বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইন আনুক। গণপিটুনি রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর জন্য নির্দেশিকাও তৈরি করে দিয়েছিল।
সেই নির্দেশের কতটা পালন হয়েছে, তা জানতে চেয়ে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ ছিল, সংসদে গণপিটুনি রুখতে আইন তৈরি হোক। কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হোক। বিশেষ আইন হলে মানুষের মনে এই হিংসায় জড়িয়ে পড়ার আগে ভয় তৈরি হবে। ২০১৮-র ১৭ জুলাই ওই রায় হলেও গত এক বছরে মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ করেনি। গণপিটুনিও বন্ধ হয়নি। উল্টে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দিয়ে মুসলিমদের মারধরের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
জেডএ/জেআইএম
Advertisement