ভারতের কর্ণাটক প্রদেশে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে উৎখাত করে অবশেষে সরকার গঠন করলো বিজেপি। শুক্রবার দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৭৫ বছরের বেশি বয়সী নেতাকে মনোনয়ন দেয়া না হলেও দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় সে নিয়ম ভেঙ্গে ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিল বিজেপি। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কর্ণাটকে তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির প্রবীণতম নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা চতুর্থবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তবে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিধানসভায় তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
Advertisement
গত মঙ্গলবার কংগ্রেস এবং জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) জোট সরকার বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলো। আস্থা ভোটে কংগ্রেসের জোট সরকারের পক্ষে পড়েছে ৯৯টি অপরদিকে বিজেপির পক্ষে পড়ে ১০৫টি।
আরও পড়ুন> কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের পতন
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ ও সরকার থেকে দুজন স্বতন্ত্র বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার ফল এই ভোট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দীর্ঘ অচলাবস্থার পর ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ ও সরকার থেকে দুজন স্বতন্ত্র বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার ফল এই ভোট।
Advertisement
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পক্ষে মোট ১০৬ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আরও ছয়জনের সমর্থন প্রয়োজন। তবে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়ে তার ১০১% বিশ্বাস আছে বলে জানিয়েছেন।
গত কিছুদিন ধরে কার্যত ‘রাজনৈতিক নাটক’ চলছিল কর্ণাটকে। একাধিক বিধায়ক পদত্যাগ করলেও পদত্যাগপত্র প্রথমে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান স্পিকার। কিন্তু তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে মঙ্গলবার হয় আস্থা ভোট।
২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশের মোট ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৮০টি এবং বিজেপি পায় ১০৫টি আসন। তবে ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) ৩৭ জন এবং বহুজন সমাজ পার্টির ১ জন বিধায়ককে নিয়ে জোট করে সরকার গঠন করে কংগ্রেস।
সরকার গঠন করলেও প্রথম থেকেই জোট শরিকদের মধ্যে মতৈক্য ছিল না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হন জনতা দলের এইচ ডি কুমারাস্বামী। তবে লোকসভায় কর্ণাটকে বিজেপি দারুণ সফলতা পায়। মোট ২৬ টি লোকসভা আসনের মধ্যে তারা জয়ী হয় ২৪টিতে। আর কংগ্রেস এবং জনতা দল একটি করে আসন পায়। তারপর থেকেই প্রদেশে সরকার গঠনের চেষ্টায় অবশেষে সফল হলো বিজেপি।
Advertisement
এসএ/পিআর