পাবনা পৌর সদরের শিবরামপুর মহল্লায় এক তরুণী ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালার যোগসাজশে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বাড়িওয়ালা হায়দার আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
গত বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে এ ধর্ষণের ঘটে। পরে গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই তরুণী পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টে পুলিশকে জানান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান জানান, ওই তরুণী শিবরামপুর মহল্লায় হায়দার আলীর বাসায় একাই ভাড়া থাকতেন। বুধবার রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে ২টার দিকে তার বাসায় কয়েকজন যুবক এসে তাকে ধর্ষণ করে। এতে বাড়িওয়ালা হায়দার আলীর যোগসাজশ ছিল বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বিষয়টি একদিন চেপে রাখার পর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ওই তরুণী তার ভাইয়ের সঙ্গে এসে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণীর জবানবন্দি নেয়।
তিনি আরও জানান, ওই তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার সকালে বাড়িওয়ালা হায়দার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সদর থানায় আনা হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে হায়দার আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, ওই তরুণী বিবাহিত। তিনি একজনকে স্বামী পরিচয় দিয়েই তার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
Advertisement
এদিকে পাবনা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নার্গিস সুলতানা জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই ভিকটিমের আলামত সংগ্রহ করা হয়।
পাবনা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আকসাদ আল -মাসুর আনন জানান, ইতোমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে বোর্ড শনিবার (২৭ জুলাই) মেডিকেল রিপোর্ট দেবে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক শুক্রবার দুপুরে জানান, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একে জামান/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement