বিজেপি সংসদ সদস্য রমা দেবীর উদ্দেশে সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য আজম খান বলেন, ‘আপনাকে এতো ভালো লাগে যে আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ইচ্ছে করে।’ এর পরই বিজেপির এমপিরা আজম খানের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে হট্টগোল শুরু করে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
জানা গেছে, লোকসভায় তখন চলছিল তিন তালাক বিল নিয়ে আলোচনা। স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান সংসদ সদস্য রমা দেবী। বক্তব্যের মাঝেই আজম খান বলেন, ‘আপ মুঝে ইতনি আচ্ছি লাগতি হ্যায় কি মন করতা হ্যায় কি আপ কি আঁখো মে আঁখে ডালে রাহুঁ।’ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করে রমা দেবী বলেন, এটা সংসদের কথা বলার ভাষা নয়। বক্তব্যের ওই অংশ বাদ দেয়ার কথাও বলেন রমা দেবী।
তখন আজম খান বলেন, ‘আপনি আমার বোনের মতো।’ কিন্তু ততক্ষণে বিজেপির মন্ত্রী-এমপিরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। আজম খানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভও করেন তারা।
এর মধ্যে আজম খানের হয়ে কথা বলেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না আজম খান চেয়ারকে অসম্মান করেছেন। এ লোকগুলো (বিজেপির এমপিরা) খুব অসভ্য। আজম খানের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার ওরা কে?’ তার এ বক্তব্যে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা অধিবেশন।
Advertisement
এর মধ্যেই চেয়ারে ফিরে আসেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি আজম খানকে ভর্ৎসনা করেন। অন্যদিকে আজমের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে তখনও সরব বিজেপির এমপিরা। কিন্তু ক্ষমা চাইতে রাজি হননি আজম। উল্টে তিনি বলেন, তার বক্তব্যের কোনো অংশ অসংসদীয় বলে মনে হলে তিনি সংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতেও রাজি। এর পর অখিলেশ এবং আজম খান বেরিয়ে যান।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সংসদে একজন মহিলার এমপির উদ্দেশে এ ধরনের মন্তব্য কিভাবে করতে পারেন সংসদ সদস্য।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, এটা শুধু অসংসদীয় ভাষাই নয়, স্পিকারের চেয়ারেরও অসম্মান।
এএইচ/এমএস
Advertisement