সিরিজের প্রথম ম্যাচের ফলাফল পক্ষে ছিল না, ৪৭ রানের সহজ জয় দিয়ে শুরু করেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ এমার্জিং নারী ক্রিকেট দল।
Advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকা এমার্জিং নারী ক্রিকেট দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আগামী রোববার শেষ ম্যাচের ফলের ওপরই এখন নির্ভর করছে সিরিজের ভাগ্য।
বৃহস্পতিবার প্রিটোরিয়ায় খাদিজাতুল কুবরার স্পিন ঘূর্ণির পর প্রায় সব ব্যাটসম্যানের সমান অবদানের কল্যাণে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকরা দাঁড় করিয়েছিল ২৩৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
প্রথম ম্যাচে ১৯৮ রান করেও ৪৭ রানের বড় জয় পাওয়ায়, এ ম্যাচেও প্রথম ইনিংস শেষে আত্মবিশ্বাসী ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এবার আর ভুল করেননি টাইগ্রেস ব্যাটসম্যানরা। সকলের সম্মিলিত অবদানে ৮ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
Advertisement
২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফিরে যান শারমিন সুলতানা। তবে এতে ভড়কে যাননি পরের ব্যাটসম্যানরা। উইকেটরক্ষক নুজহাত তাসনিয়া ৮ রান করে আউট হন দলীয় ৪১ রানের মাথায়।
শায়লা শারমিনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মুরশিদা খাতুন। কিন্তু দলীয় ৯৯ রানের মাথায় তিনি ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪৮ রানেই। পরে শায়লা থামেন ৩১ রান করে। এরপর রিতু মনি ৪২ ও ফাহিমা খাতুন আউট হন ২০ রান করে।
৫৫ রানের অবিচ্ছিন সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শবনম মোস্তারি। দুজনই অপরাজিত ছিলেন ২৯ রান করে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৫ রান যোগ করেন দুই ওপেনার তাযমিন ব্রিটস ও রবিন সিয়ার্ল। তবে ব্রিটস আউট হন ৪৮ রান করে, সিয়ার্ল থামেন ৯৬ রানে। দুজনের কেউই পারেননি ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে।
Advertisement
তিন নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক তৃষা ছেতির ব্যাট থেকেও আসে ৫৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস। কিন্তু এরপরের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। যার ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৪২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন খাদিজাতুল কুবরা। এছাড়া রিতু মনি ২ ও নাহিদা আক্তারের ঝুলিতে যায় ১টি উইকেট।
এসএএস/এমএস