বিশেষ প্রতিবেদন

বেকায়দায় অর্থমন্ত্রী!

বেতন কাঠামো নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়গুলোর শিক্ষক আর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বেকায়দায় পড়েছেন সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রভাবশালী মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সূত্র জানায়, সরকারের অত্যন্ত নির্ভরশীল এই মন্ত্রীকে নিয়ে এখন সরকার ও সরকারের বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। এমনকি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা কথাও বলেছেন। তারা সরকার প্রধানকে বলেছেন, মুহিতের অসংলগ্ন মন্তব্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে।  যা সরকারের জন্যও বিব্রতকর। জানা গেছে- রাবিশ, বোগাস, স্টুপিড মন্তব্য করে বার বার পার পেয়ে গেছেন সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী। তবে সবশেষ শিক্ষকরা জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছেন মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েন সিলেট থেকে নির্বাচিত মুহিত। যিনি গত মেয়াদেও শেখ হাসিনার সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকদের অসম্মান করে দেয়া বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক তোলাপাড় শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন যেন নতুন মাত্রা পায়। বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন মুহিতের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে তাকে ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম দেন। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার সিলেটে জরুরি সংবাদ সম্মেললন করে বক্তব্য প্রত্যাহার এবং দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।সূত্র বলছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংবাদ সম্মেলনে করে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তবে শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। তারাও সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহালের দাবি তুলছেন। সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি করেছেন সরকারি মাধ্যমিক এবং প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এদিকে, বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সাড়ে সাতে শতাংশ ভ্যাট আরোপ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাজপথে নেমে আসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বাইরেও। সেই আন্দোলন শুক্র ও শনিবার বেগহীন থাকলেও রোববার আবার রাজপথে নেমে রাজধানী অকার্যকর করে দেয় তারা। এমন পরিস্থিতিতে দু’দফা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে চেয়েছে। তবে তাতে দমেননি  শিক্ষার্থীরা।এমন পরিস্থিতিতে নানামুখী বেকায়দায় অর্থমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কি নির্দেশনা আসছে সেটির দিকে মুহিত তাকিয়ে আছেন বলেও জানা গেছে।এসএ/এসএইচএস/এএইচ/পিআর

Advertisement