জাতীয়

কাঞ্চন পৌরসভায় ইভিএমে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট চলছে

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে চলছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ভোট। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ৯টায় এ ভোট শুরু হয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে বেশকিছু ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একজন দলীয় প্রতীকে, তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন > পৌরসভাসহ ২৯৫ স্থানে ভোট চলছে

Advertisement

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা নারিকেল গাছ, সাবেক মেয়র ও কাঞ্চন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জগ এবং একেএম আমিরুল ইসলাম মোবাইলফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

মহর আলী শাহনূর বানু উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছয় ইউনিটে ১ হাজার ৭২৬ জন ভোটার রয়েছে। কেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে।

ভোট দেয়া শেষে আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ভোট আমি দিছি। কোনো সমস্যা হয় নাই।’

পোলিং এজেন্টদেরও দেখা মেলে। তারাও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।

Advertisement

পোলিং অফিসার মো. কলিম উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ’৯টায় ভোট শুরুর পর প্রথম ১৪ মিনিটে ভোট পড়েছে ৫টি। এখানে দুই দিন ভোটারদের ইভিএমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তারপরও ইভিএমে ভোট দেয়ার বিষয়ে কিছুটা কম বোঝে অনেকে। তবে ভোটার উপস্থিতি আমরা ভালো দেখতে পাচ্ছি। কোনো ধরনের সমস্যা হয় নাই এখন পর্যন্ত।’

কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছাজিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোট দিচ্ছে।’

এ ছাড়া ৩২ কাউন্সিলর ও ৬ নারী কাউন্সিল এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

গতকাল বুধবার কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, ওখানে তো ইভিএমে ভোট হবে।’

অন্যদিকে এ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/ প্রতিষ্ঠান/ সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনকালীন সাধারণ ছুটি রয়েছে।

পিডি/জেইউ/জেডএ/জেআইএম