শিক্ষা

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কন্ট্রোল রুম স্বাস্থ্য অধিদফতরে

প্রতারণা প্রতিরোধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কন্ট্রোল রুম খুলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর মাত্র পাঁচ দিন পর আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি  পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে এই প্রথম বারের মতো স্বাস্থ্য অধিদফতরে ভর্তি পরীক্ষার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের টেলিফোন নম্বরগুলো হলো : ৮৮১৮৭৩৬,৮৮১৯৩৫৩,৮৮২৫৪০০, মুঠোফোন ০১৫৫৫৫৫৫১৬৭ ও ফাক্স ৯৮৮৬৬১২। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা ও গোপন তথ্য কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান রোববার দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, আসন্ন এমবিবিএস বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। ইতিমধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে।তিনি জানান, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও একটি সংঘবদ্ধ চক্র (ভর্তি কোচিং সেন্টার) মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ‘শতভাগ ভর্তির নিশ্চয়তা’ প্রদানকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও ব্যক্তিগতভাবে ১০০ ভাগ কমন সাজেশন, সিক্রেট সাজেশন ও এক্সক্লুসিভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে গ্যারান্টি দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভর্তি হতে না পারলে টাকা ফেরত দেবেন এমন কথা বলে আশ্বস্ত করছেন।তিনি বলেন, এ ধরনের কোন তথ্য পেলে শিক্ষার্থীরা কন্ট্রোল রুমে জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিবিড়ভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করে নিজ যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে উপদেশ ও পরামর্শ দেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই র্যাব, এসবি, সিআইডি, ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মেডিকেল কোচিং সেন্টারের প্রতারক চক্রের সদস্যদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করে নজরদারি করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এক শ্রেণির প্রতারকচক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, আগের রাতে প্রশ্নপত্রে মডেল টেস্ট নিয়ে শতভাগ ভর্তির নিশ্চয়তা দিচ্ছে এমন তথ্য হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তীক্ষ্ণ  নজরদারি করছেন। তদুপরি শিক্ষার্থীরা যদি কেউ এ সংক্রান্ত তথ্য জানে তবে বৃহত্তর স্বার্থে অধিদফতরে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের নাম আবশ্যিকভাবে গোপন রাখা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement