দেশজুড়ে

ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে বরিশালে

বরিশালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত মাসে (জুন) ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১ জন। সেখানে চলতি (জুলাই) মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।

Advertisement

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মসে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য কোচিং করতে ঢাকায় গিয়েছিল নগরীর ঝাউতলা এলাকার নাজমুল হাসানের ছেলে রিফাতুল ইসলাম। কিছু দিনের মধ্যে বরিশালে ফিরে আসে জ্বর নিয়ে। পরে ধরা পড়ে সে ডেঙ্গু আক্রান্ত। ভর্তি হন ওই শেবাচিমে। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান রিফাতুল ইসলাম। সেই থেকে বরিশালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

এরপর গত ১৬ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হন ৪ জন। তারা হলেন- নগরীর কাউনিয়া এলাকার মেজবাহ উদ্দিন (২২), নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আফনান আশরাফি (২০), বাকেরগঞ্জ উপজেলার আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও পিরোজপুরের নাজিরপুরের অরুন সুতার (২৮) ।

গত ১৯ জুলাই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মো. ফোরকান (১৯) এবং বানারীপাড়ার গিয়াস উদ্দিন (৩০)। ২১ জুলাই ভর্তি হন বরিশাল সদর উপজেলার তাজুল ইসলাম (২৩) ও বরিশাল নগরীর কলেজ অ্যাভিনিউয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন রুবেল (২৭)। এদের মধ্যে দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

Advertisement

তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালের তথ্য সরকারের কাছে আসে না।

এদিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সাবধানতার অংশ হিসেবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে ।

বিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রবিউল ইসলাম জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫ জন কর্মী প্রতিদিন মশা নিধনে হ্যান্ড স্প্রে ছিটিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ৪ সদস্যের একটি দল সরকারি অফিস, বস্তি এলাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মশা নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছে।

এছাড়া প্রতিদিন বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচলরাখাসহ নগরীকে সার্বিক পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রায় সাড়ে ৪শ কর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছেন।

Advertisement

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, জুন মাসের চেয়ে জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও জটিল আকার ধারণ করেনি। তাই ডেঙ্গু নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি।

তিনি বলেন, জনসাধারণের জন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে জ্বর হলে কোনো অবহেলা করা যাবে না। প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করাও ঠিক হবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সাইফ আমীন/এমএমজেড/জেআইএম