দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের অনুপস্থিতিতে সে দেশের কোন পাবলিক অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
দক্ষিণ সুদানের তথ্যমন্ত্রী মাইকেল মাকুয়েইয়ের একটি সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত সবার জন্য নয়’।
সুদানের তথ্যমন্ত্রী কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন, যেখানে ‘গভর্নর এবং আন্ডার সেক্রেটারি’ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় জুনিয়র কর্মকর্তাদের দ্বারা।
মাকুয়েইয়ের বরাত দিয়ে বেসরকারি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ‘সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, জাতীয় সঙ্গীত শুধুই প্রেসিডেন্টের জন্য এবং তার উপস্থিতিতে হওয়া অনুষ্ঠানের জন্য।’
Advertisement
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্য দ্বারা ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন - কোন কোন অবস্থায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে - তা অবশ্য পরিষ্কারভাবে উঠে আসেনি তার বক্তব্যে।
২০১১ সালে সার্বভৌমত্ব লাভ করা দক্ষিণ সুদান পৃথিবীর সবচেয়ে নতুন দেশ। সার্বভৌমত্ব লাভের আগের বছর মোট ৪৯ জন কবির মিলিত প্রচেষ্টায় লেখা হয় দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সঙ্গীত।
জাতীয় সঙ্গীত বিষয়ক নতুন এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর দেশটির সাধারণ মানুষ এর তীব্র সমালোচনা করে বলে আই রেডিও'র খবরে বলা হয়।
অনেকেই মনে করেন যে জাতীয় সঙ্গীত দেশের সব নাগরিকের জন্য।
Advertisement
এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর দক্ষিণ সুদানের অনেকেই প্রতিবাদ হিসেবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সেই ভিডিও টুইটারে প্রকাশ করেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
জেএইচ/জেআইএম