রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত দুই মাসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুই রোগী। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মোট ৫২৬ রোগী। এর মধ্যে ৪১৪ রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। ২৩ শিশুসহ হাসপাতালের সাতটি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ১১২ জন।
Advertisement
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ফলে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় আলাদা কয়েকটি ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বাড়তি পরিচর্যা ও চিকিৎসায় আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হাসপাতালের ১৬ জুলাই ৩৫, ১৭ জুলাই ২৬, ১৮ জুলাই ১৭, ১৯ জুলাই ২১, ২০ জুলাই ৩৬, ২১ জুলাই ৩৩, ২২ জুলাই ৪৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮৩ রোগী চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন। গত ১২ ও ১৫ জুলাই চিকিৎসা নিতে এসে মারা যান দুই রোগী।
Advertisement
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে এক নম্বর (পুরুষ) ওয়ার্ডে ৩৫, চার নম্বর (মহিলা) ওয়ার্ডে ২৭, ১১ নম্বর (শিশু) ওয়ার্ডে ২৩ জনসহ তিন, ছয় ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জন রোগী ভর্তি আছেন।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জাগো নিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। গত এক বছরে এ হাসপাতালে ৫৩৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। কিন্তু এ বছর গত দুই মাসেই ৫২৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব রোগীকে বেডে রাখা সম্ভব না হওয়ায় নিচতলার এক নম্বর ওয়ার্ডে অনেক রোগীকে মেঝেতে রাখা হয়েছে। সেখানে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। এছাড়া ছয়টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি। সার্বক্ষণিক রোগীদের পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে।
Advertisement
এমএইচএম/এএইচ/এমএআর/এমএস