ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, কৌশগত কারণে পুলিশ হিজবুত তাহরীরের অনলাইন সম্মেলন বন্ধ করেনি। সম্মেলন ঘিরে তাদের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করে সনাক্ত করণের চেষ্টা চলেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুই অভিযানে হিজবুত তাহরীরের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, একরামুল খায়ের ওরফে অপু, মো. আব্দুল কাইয়ুম, মো. নাজমুল হাসান ওরফে নিপন, মো. ইব্রাহীম শেখ, মো. রাশেদুল ইসলাম শেখ, মো. আরিফুল ইসলাম এবং এ এস এম তারেক আমিন। মনিরুল ইসলাম বলেন, হিযবুত তাহরীর যে অনলাইন সম্মেলন হয়েছে সেটি মূলত আগেই রেকর্ডিং করা। সরাসরি ছিলো না। সেখানে ৬ জনকে দেখা গেছে। আমরা এই ৭ জনের কাছ থেকে তাদের অনলাইন সম্মেলনে উপস্থিত থাকা ওই ৬ জনের মধ্য থেকে ২ জনকে সনাক্ত করেছি। যাদের একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অন্যজন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা রষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যমে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছিলো। এদের মধ্যে তারেক ও আরিফ Enlighted Thinker ও Asm Tareq.Amin নামে দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হিজবুত তাহরীরের বিভিন্ন লিফলেট পোস্ট দেয়াসহ তাদের অনলাইন সম্মেলন আটকাতে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন পোস্ট ও স্ট্যাটাস দিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করতো। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন লিফলেট, জিহাদি বই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকার আশেপাশের একটি এলাকায় সম্মেলন হয়েছে। প্রথমে এই সম্মেলনে ৭৪০ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলো ৪০০ জনের মত। ডিএমপির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, তারা মূলত বিভিন্ন বাহিনী ও প্রশাসনে তাদের লোক ঢুকিয়ে দেশে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর সেই লক্ষ্যেই তারা এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় তথ্য প্রযুক্তি অাইনে একটি মামলা করা হয়েছে।জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement