মশা নিধনে ঢাকা সিটি দক্ষিণ কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ওষুধ অকার্যকর বলে যে তথ্য এসেছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন।
Advertisement
মঙ্গলবার নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ওষুধ আংশিকভাবে কার্যকর কিংবা অকার্যকর তা নিয়ে তর্ক, আলোচনা, সমালোচনা রয়েছে। ব্যাপকভাবে এটাকে নিরসনের জন্য দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের মেন্ডেডপ্রাপ্ত সংস্থা আইইডিসিআরকে আমাদের ব্যবহৃত ওষুধ সরবরাহ করব। তারা পরীক্ষার-নিরীক্ষা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, যদি ওষুধের কোনো একটি অংশ অকার্যকর থাকে তাহলে সেটিকে রিপ্লেস করে দেবে আইইডিসিআর। এরপর আমরা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠাবো। তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। আইসিডিডিআর’বি এবং সিডিসিপি যৌথভাবে যে গবেষণা করেছে সেখানে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওষুধের নমুনা ব্যবহার করা হয়নি।
Advertisement
আইসিডিডিআর’বির সহকারী বৈজ্ঞানিক ড. শফিকুল আলম বলেন, মশা নিধনের ওষুধের তিন ধরনের উপাদান থাকে। আমরা এই তিন ধরনের মধ্যে একটি উপাদান নিয়ে গবেষণা করেছি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলে তিনি আর কোনো জবাব দেননি। এমনকি মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনিও উত্তর না দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে আবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেয়র। তখন তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেকাংশে আমরা নগরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ, আইসিডিডিআরবি এবং সিডিসিপি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিদ্যমান মশার ওষুধের কার্যকারিতা এবং মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন ওষুধ নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র সাঈদ খোকন।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে এ বৈঠকে সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর’বি), প্ল্যান প্রোটেকশন উইং, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ ১০টি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/জেএইচ/জেআইএম