সারাদেশে ছেলেধরা গুজব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে হত্যা করা হয়েছে। ছেলেধরা গুজব রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণসচেতনতামলূক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
Advertisement
বর্তমানে ছেলেধরা সন্দেহে সাতক্ষীরা জেলার কোথাও কাউকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে এমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত দেড় মাস আগে সাতক্ষীরা জেলায় ছেলেধরা গুজব প্রকট আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্নস্থানে ১৬ জন নারী-পুরুষ গণপিটুনির শিকার হয়। পরে গণপিটুনির হাত থেকে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। যাচাই-বাছাই করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণপিটুনির শিকার হওয়া প্রত্যেকেই মানুসিক ভারসম্যহীন।
এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গুজব রোধে জেলার আটটি থানা এলাকায় জনসাধারণকে সচেতন করতে ফেসবুক প্রচারণাসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুর জন্য মাথা ও রক্ত লাগবে এ ধরনের গুজব নিরসনে বিশেষ সভা ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম রেজা জাগো নিউজকে জানান, ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কাউকে গণপিটুনি না দেয়ার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে জনসাধারণকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। পাটকেলঘাটা থানার আওতাধীন সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর ও গ্রাম পুলিশদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া কোথাও ছেলেধরা সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ছেলেধরার ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যারা বিভিন্ন সময় গণপিটুনির স্বীকার হয়েছেন তারা অধিকাংশই মানসিক ভারসম্যহীন বা নিরীহ মানুষ। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কাউকে হত্যা বা গণপিটুনি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি ঘটানোর চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ