আন্তর্জাতিক

খাশোগি খুনের পর সৌদির কাছে ৬৮৫৫ কোটির অস্ত্র বিক্রি ব্রিটেনের

সৌদি রাজ পরিবারের সমালোচক ও নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ছয় মাসের মধ্যে সৌদি আরবের কাছে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার (৮১০ মিলিয়ন ডলার) অস্ত্র বিক্রি করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত নতুন অস্ত্র রফতানি পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

ব্রিটেন একদিকে সৌদি আরবের কাছে বিশাল অঙ্কের অস্ত্র বিক্রি করছে, অন্যদিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় নথি আনতে গিয়ে রিয়াদের পাঠানো বিশেষ ঘাতক দলের হাতে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের নিন্দাও জানিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় কঠোর উপায়ে নিন্দা জানায় ব্রিটিশ সরকার।

জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তারা ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে।ব্রিটেনের কাছে থেকে কেনা সৌদি আরবের ৬৮৬ মিলিয়ন ডলারের ওই অস্ত্রের মধ্যে গ্রেনেড, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও হামলা প্রতিরোধক অস্ত্র রয়েছে। এর অধিকাংশ ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরকি জোটের যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও পড়ুন : খাশোগি হত্যা : যুক্তরাষ্ট্র-সৌদির নীল নকশা ও তুরস্কের উদ্দেশ্য

Advertisement

সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাজ্যের এই অস্ত্র বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইয়েমেনে সৌদি আরব যখন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছে তখন তাদের কাছে বিশাল অঙ্কের এই অস্ত্র বিক্রির ঘটনায় সমালোচনার মুখেও পড়েছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের তৈরি অস্ত্রে ইয়েমেনে সৌদি আরব মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সৌদির রাজপরিবারের উপদেষ্টা থেকে সমালোচক বনে যাওয়া নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তুরস্ক বলছে, সৌদি সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাঠানো একদল ঘাতক জামাল খাশোগিকে হত্যা করেছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বৈশ্বিক প্রচণ্ড চাপের মুখে খাশোগিকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে সৌদি। তবে তার মরদেহের সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমবারের মতো স্বাধীন এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডবিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। ওই প্রতিবেদনে ক্যালামার্ড বলেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান-সহ উচ্চ পর্যায়ের আরো বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, এএফপি।

Advertisement

এসআইএস/এমকেএইচ