পঞ্চগড়ে ছেলেধরা সন্দেহে আটক তিনজনকে গণপিটুনি থেকে রক্ষা করেছে পুলিশ। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আটকদের মধ্যে একজনের নাম-পরিচয় জানা গেলেও অন্যরা অসংলগ্ন কথা বলছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Advertisement
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর জেলা শহরের পূর্ব জালাসী গরুহাটি এলাকা থেকে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। রাতে ডোকরোপাড়া এলাকায় আরেক জনকে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় লোকজন আটক করে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গণপিটুনি থেকে উদ্ধার করে।
এদিকে একই দিন বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়। পরে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তার নাম সাজেদুল ইসলাম। তার বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মন্টুর ছেলে বলে জানা গেছে।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হাসান সরকার বলেন, সাজেদুল বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে তাদের হাতে সোপর্দ করা হবে।
Advertisement
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, পৃথক স্থানে তিনজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে স্থানীয়রা। পুলিশ তাদের তিনজনকেই ঘটনাস্থল থেকে গণপিটুনি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনজনই মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় তাদের জীবন বেঁচে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সন্দেহ হলেই কেউ অপরাধী নয়। মাথা কাটা বা ছেলেধরা এটা একটি গুজব মাত্র। অপরিচিত কাউকে কোনো রূপ সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে নিকটস্থ থানা পুলিশকে খবর দিতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দিয়ে তাৎক্ষণিক সেবা নেয়ার অনুরোধ জানান পুলিশ সুপার।
সফিকুল আলম/আরএআর/পিআর
Advertisement