দেশজুড়ে

১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজনকে গণপিটুনি

কোনো শিশু নিখোঁজ অথবা হারিয়ে গেছে এমন তথ্য না থাকলেও ঈশ্বরদীতে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজনকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকার ‘বীর’ সন্তানেরা। তাদের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ও অপরজন শ্রমিক।

Advertisement

ছেলেধরা নিয়ে গুজব সৃষ্টি ও গণপিটুনি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এত প্রচার-প্রচারণা তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে বলে মনে হয় না।

সোমবার (২২ জুলাই) রাতে উপজেলার সলিমপুরের মানিকনগরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়ার ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আজ (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় একই ইউনিয়নের জয়নগর ওয়াপদা গেটের সামনে মোহাম্মদ লোকমান আলি (৪৮) নামে এক শ্রমিককে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়েছে অতিউৎসাহীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দানিয়ালগাছি গ্রামে, পিতার নাম মৃত শামসুদ্দিন।

জানা গেছে, লোকমান আলী ৬-৭ মাস আগে ঈশ্বরদীর খান অ্যাগ্রো ফুড নামের এক প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ নেন। এরপর বাড়ি থেকে একটি পোটলায় মশারি, কাঁথা, প্যান্টসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেনে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছান।

Advertisement

আজ (মঙ্গলবার) সকালে কাজের খোঁজে রবি নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে জয়নগর ওয়াপদা গেটের সামনে পৌঁছালে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা লোকমানকে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গণপিটুনিতে তিনি কিছুটা আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত তার কথা বলার ধরনের কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এছাড়া মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ঘটনাটি বড় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এমএমজেড/পিআর

Advertisement