বিজেপির বিরুদ্ধে রোববার শহিদ সমাবেশের মঞ্চে কটাক্ষ মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল তুলে কালো টাকা ফেরত আনার দাবি করেছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী।
Advertisement
তার মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মানসিক ভারসাম্য’ হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করলেন এই বিজেপি নেতা। সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন, মনে হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তিনি বিজেপিকে কালো টাকা ফেরাতে বলছেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি ২৫ শতাংশ কাটমানি ফেরাতে বলছেন। কিন্তু বাকি, ৭৫ শতাংশ যেগুলো তার নেতাদের পকেটে গেছে সেগুলোর কী হবে? প্রথমে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে তারপর অন্যদের বলা উচিত।
এদিকে, মুকুল রায়ের মন্তব্যের পাল্টা জবার দিয়েছে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। কারণ তখন মুকুল রায়কে সাংসদ এবং রেলমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছিল।
Advertisement
রোববার কলকাতার ধর্মতলা শহরে তৃণমূলনেত্রী ঘোষণা করেন, ২৬ জুলাই কালো টাকা ফেরানোর দাবিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তার দল। উজালা প্রকল্পের কথাও তুলে ধরে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি।
সরকারি প্রকল্পে সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে উপভোক্তাদের থেকে কাটমানি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। কাটমানির পাল্টা ব্ল্যাকমানির আওয়াজ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুল রায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে ২০১২ সালেই। যখন, রেলমন্ত্রী হিসেবে মুকুলের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল।
বিজেপি নেতা মুকুল তথা একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ উল্লেখ করে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, ওই পদের উপযুক্ত যোগ্যতা বা ক্ষমতা ছিল না মুকুল রায়ের। তবুও তিনি রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে।
Advertisement
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, পরে আমরা ভুল বুঝতে পারি এবং দল থেকে তাকে তাড়িয়ে দেই। এখন তিনি আরেকটা দলে যোগ দিয়েছেন এবং আমরা নিশ্চিত তিনি ওই দলটাকেও শেষ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়।
টিটিএন/এমকেএইচ