জাতীয়

ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ আনতে সিয়াটলে ২৪ জন, আসছে ২৫ জুলাই

আগামী ২৫ জুলাই আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’। উড়োজাহাজটি আনতে যুক্তরাষ্ট্রে বোয়িং অফিস সিয়াটলে গেছেন বিমানের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালকের নেতৃত্বে ২৪ জন কর্মকর্তা।

Advertisement

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, বিমান পরিচালনা পর্ষদের দুইজন সদস্য, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা, আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা, বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস থেকে পাঁচজন, ফ্লাইট অপারেশন থেকে তিনজন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছয়জন উড়োজাহাজটি আনতে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন।

এ প্রসঙ্গে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দরকার জাগো নিউজকে বলেন, উড়োজাহাজটি ২৫ জুলাই দেশে আসবে। এর ফলে বিমানের ফ্লাইট বৃদ্ধি ও রুট বাড়ানো সম্ভব হবে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো- ‘আকাশবীণা’, ‘হংসবলাকা’, ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। এদের মধ্যে প্রথম দুটি উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহন করছে। ‘গাঙচিল’ যুক্ত হলে ড্রিমলাইনারের সংখ্যা হবে তিনটি।

Advertisement

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৭১টি আসন রয়েছে ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’-এ। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি, ইকোনমি ক্লাস ২৪৭টি। বিজনেস ক্লাসের আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড করা সম্ভব। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনারে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানির প্রয়োজন হবে।

ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। বিমানটির ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছে জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)। ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত থাকায় উড়োজাহাজটিতে শব্দ কম হবে। বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। উড়োজাহাজের মোট ওজন এক লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম।

জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে আটটি বিমান। বাকি একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আসবে সেপ্টেম্বর মাসে।

আরএম/বিএ/এমকেএইচ

Advertisement