যশোরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইলের এক নারীর যশোরে মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি- আটজন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। ঢাকায় থাকতে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন। সরকারি হাসপাতালেই রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
Advertisement
গত ১৯ জুলাই যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী রাণী (৫৩)। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার কুড়িগ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুইজন ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের বাড়ি যশোরসহ বিভিন্ন জেলায়। তারা ঢাকায় থাকতেন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন। যশোরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যশোর স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা হলেন- যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার ফারজানা আক্তার (২৩), যশোর সরকারি এমএম কলেজ রোড এলাকার তিতলী সিকদার (১৮), পুরাতন কসবা পুলিশ লাইন এলাকার রিফাত রহমান (১৮), উপশহর এলাকার ইশান (১৪), কারবালা এলাকার নাফিজা আক্তার (২১), চৌগাছার উপজেলা সদরের আম্রকাননপাড়ার তাসপিয়া চৌধুরী তুবা (৭), শার্শা উপজেলার টেকরালী এলাকার আনোয়ার হোসেন (২৫), কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের খালিদুজ্জামান (২৭), বাঘারপাড়া উপজেলার ক্ষেত্রপালা এলাকার ইমামুল হোসেন (২৫), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ড এলাকার জাহিদুল ইসলাম খান (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও তাহেরা খাতুন (২২)।
Advertisement
ডেপুটি সিভিল সার্জন হারুন অর রশিদ আরও বলেন, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসা নিতে হবে। সব সময় মশারির মধ্যে থাকতে হবে। বিষয়টি নিয়ে রোববার জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। আলোচনা সভায় সতর্কতা অবলম্বন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মিলন রহমান/আরএআর/এমএস