আন্তর্জাতিক

বাঙালি কৃষকের ছেলের কাঁধে ভারতের চন্দ্রযান-২ এর দায়িত্ব

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান চন্দ্রযান-২ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। সোমবার ক্ষণগণনা শেষে স্থানীয় সময় ২টা ৪৩ মিনিটে এ যানটি যাত্রা শুরু করেছে। চন্দ্রযান-২ মিশনের গুরুভার সামলাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাঙালি চাষীর ছেলে চন্দ্রকান্ত।

Advertisement

গত সপ্তাহে চন্দ্রযান ২-এর উড়ান প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে স্থগিত করা হয়। কোটি কোটি ভারতবাসীর পাশাপাশি অধীর আগ্রহে যিনি এই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করছিলেন তিনি চন্দ্রকান্তের বাবা মধুসূদন কুমার।

হুগলির শিবপুর গ্রামের মধুসদন কুমার স্ত্রীর সঙ্গে গত রোববার গোটা রাত অপেক্ষা করেছিলেন চন্দ্রযান-২ কখন রওয়ানা দেবে মহাকাশে। ভারতীয় গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছেলের কাজ সম্পর্কে তিনি বিশেষ কিছু জানেন না, কিন্তু ছেলের ওপর তার ঊর্ধ্বতনরা খুবই ভরসা করেই বড় এই দায়িত্ব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন> চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য জানতে ছুটল চন্দ্রযান-২

Advertisement

তবে এর আগে চন্দ্রযান-২ এর উড্ডয়ন শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেয়ায় খুবই খারাপ লেগেছিল তাদের। কিন্তু এই মিশন যে সফল হবেই সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন বাবা মধুসদন। তার আশা পূরন করে সফলভাবে মহকাশে গেছে চন্দ্রযান-২।

২০০১ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাতে (ইসরো) যোগদান করেন চন্দ্রকান্ত। ক্রমশই নিজের কাজের মাধ্যমেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে হয়ে ওটনে চন্দ্রযান-২ অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী। চন্দ্রকান্তের ভাই শশীকান্তও একজন বিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান স্পেস এজেন্সিতে কর্তব্যরত।

চাঁদের অদেখা অংশে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান-২ কে। অপরদিকে, সেখানে নাসাও যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চন্দ্রাভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। চাঁদের ওই অন্ধকার অংশটি থেকে পাথর তুলে আনবে রোবট। সেই পাথর পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।

এসএ/এমএস

Advertisement