রাম গোপাল ভার্মার রোড সিনেমার মাধ্যমে ২০০২ সালে বলিউডে পা রাখেন কোয়েনা মিত্র। ২০০৪ সালে অনীল কাপুরের সাথে মুসাফির সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ‘এক খিলাড়ি এক হাসিনা’, ‘আপনা স্বপ্না মানি মানি’ ছবির মতো বেশকিছু ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছে তিনি। বলিউডের এক সময়ের সাড়া জাগানো সেই নায়িকার ছয় মাসের জেল হয়েছে।
Advertisement
২০১৩ সালে কোয়েনা মিত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পুনম শেঠি। ব্য়াংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকার কারণে পুনমকে দেওয়া কোয়েনার চেক বাউন্স করেছিল। সেই অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অভিযোগকারী মডেল পুনম শেঠিকে ১.৬৪ হাজার টাকার সুদ সমেত ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
প্রায় ছয় বছর ধরে চলে আসছে এ মামলা। তবে শুরু থেকেই সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছিলেন কোয়েনা মিত্র। রায়দানের সময় অন্ধেরি মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, কেতকী চাভান কোয়েনা মিত্রের সব যুক্তি খারিজ করে দেন।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পুনম শেঠির কাছে ২২ লাখের ঋণ নেন কোয়েনা মিত্র। সেই ঋণ শোধের অংশ হিসেবে ৩ লাখের চেক দিলে, তা বাউন্স করে। এরপর ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই কোয়েনাকে নিয়ম মেনে আইনি নোটিশ পাঠান পুনম। তখনও তার কোনো উত্তর দেননি কোয়েনা। এমনকি টাকাও ফেরত দেননি।
Advertisement
অবশেষে ১০ অক্টোবর আদালতে মামলা করেন পুনম। সেই মামলার জেরেই মুসাফির খ্যাত অভিনেত্রীর জেল হয়েছে।
এমএবি/এমএস