দেশজুড়ে

মাদারীপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন অর্ধশতাধিক পরিবার

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত বিস্তৃণ জনপদ তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে প্রমত্ত পদ্মায়। এতে ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

Advertisement

পদ্মা নদীর চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের চারপাশসহ পুরো চরাঞ্চল। ওই এলাকায় ত্রাণ তৎপরতাও শুরু হলেও তা খুবই সীমিত বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। শিবচরের মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চরাঞ্চলের। বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় থৈ থৈ পানি।

চলতি বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে গেছে পুরো চরাঞ্চলের মানুষের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাজারসহ নানা স্থাপনা। বন্যা ও নদীভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় ৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে। কোনরকমে চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

Advertisement

পদ্মা নদী থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। অন্যদিকে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে ৫টি স্কুল, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র-কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাট-বাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও হাজারো বসতবাড়ি। অনেকেই পানির মধ্যেই বাড়িতে অবস্থান করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙনের মুখে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, বন্যা ও নদীভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে তারা বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা ও নদীভাঙনে তাদের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা থাকলেও তা খুবই সীমিত।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমবিআর/এমকেএইচ

Advertisement