ভ্যাটিকান সিটির দুটি বধ্যভূমি থেকে মানুষের হাজারো অস্থি খূঁজে পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ১৯৮৩ সালে নিখোঁজ ইতালিয়ান এক কিশোরীর মরদেহের অবশিষ্টাংশ খূঁজতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে এসব পাওয়া গেছে। রুশ গণমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
গত শনিবার এই অস্থিগুলো পাওয়া যায়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মাটির ভেতর চাপা দেয়া মরদেহের এসব অস্থিগুলো বের করে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, যেসব অস্থি পাওয়া গেছে তা কয়েক ডজন মানুষের। তবে এসব কাদের অস্থি তা এখনও শণাক্ত করতে পারেনি ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ।
নিখোঁজ ইতালিয়ান তরুণী ইমানুয়েলা ওরল্যান্ডির পরিবারের এক সদস্য ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অস্থিগুলোর পরিচয় শণাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের একজন বলছেন, এটা বলা মুশকিল যে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে ঠিক কত সময় লাগবে।
এদিকে নিখোঁজ ইতালিয়ান তরুণীর ভাই হুশিয়ার করে বলেছেন, গত শনিবার বধ্যভূমি থেকে যেসব অস্থি উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে যদি এমন কিছু থাকে, যেগুলো খুব সাম্প্রতিক সময়ের, তাহলে সেটা হবে ভ্যাটিকানের জন্য খুব বড় একটা সমস্যা।
Advertisement
আরও পড়ুন> জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল
আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ভ্যাটিকানের এক ক্লার্কের কন্যাসন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর তার মরদেহের অবশিষ্টাংশ খোঁজ করতে গিয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য সামনে উঠে এসেছে। সর্বশেষ তথ্যটি পাওয়া যায় গত ১১ জুলাই।
ওইদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ওই সমাধিতে উনিশ শতকের দুজন রাজকুমারীকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে ওরিল্যান্ড কিংবা কোনো রাজকুমারীর অস্থি পাওয়া যায়নি। তারা বলেছিল গোটা সমাধিস্থল ছিল ফাঁকা।
গত সপ্তাহে ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা ঘোষণা দেয়, ওই সমাধিস্থল দুটিতে উনিশ শতকের শেষে এবং আজ থেকে ৬০ বছর আগে দুবার পুনঃনির্মাণকাজ চলে। যার কারণে রাজকুমারীদের অস্থির কোনো সন্ধান মেলেনি। তবে ব্যাপারটি নিয়ে রহস্যের সমাধান হয়নি।
Advertisement
এসএ/এমএস