আইন-আদালত

দুই সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা মহানগরীর দুই সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ ছড়ানো বন্ধে এডিস মশাসহ মশকনিধন কার্যক্রমের বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

মশকনিধন কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ ছড়ানো বন্ধে এডিস মশাসহ মশকনিধন কার্যক্রমের বিষয়ে জানিয়ে দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া প্রতিবেদনেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।

সোমবার বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

Advertisement

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ। তিনি রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা পর শুনানিও করেন।

প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, মশকনিধনে সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত ওষুধ দিচ্ছে এবং নাগরিকদের সচেতন করে যাচ্ছে। তখন আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে হাইকোর্ট মশা মারার জন্য রুল দেয় না।’

আদালত আরও বলেন, ‘এত কথা না বলে সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে মশকনিধনের কাজ করুন।’ পরে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।

গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ১৪ জুলাই হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তী আদেশ দেন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিবাদীদের জানানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement

ওইদিন মশা নিধনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকার দুই মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এ বেঞ্চ। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানাতেও বলা হয়েছিল। সে বিষয়ে শুনানির পর আজ দুই সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করা হলো।

এফএইচ/এনএফ/এমএআর/জেআইএম/এমএস