সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি থেকে বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২২ জুলাই) সকাল থেকেই এসব ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
Advertisement
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র শাকিল মিয়া বলেন, ‘আজও স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছে।’
জানা গেছে, সকাল আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান নেয় তারা। সকাল দশটার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। আন্দোলনকারীরা বলেন, অধ্যাপক আ ক ম জামালের আচরণ কোনোভাবেই শিক্ষকসুলভ নয়।
এ সময় তারা ‘প্রশাসন করে কী, খায় দায় ঘুমায় নাকি’, ‘নির্লজ্জ প্রশাসন, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘ঢাবির সম্মান, নষ্ট হতে দেব না’, ‘সাত কলেজ বাতিল চাই’, ‘রক্তে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’ ইত্যাতি স্লোগান দিতে থাকেন।
Advertisement
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলছে। অধিভুক্তি বাতিলসহ দাবিগুলো হলো-চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা; দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষার ফলাফল দেয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা এবং ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা।
এমএইচ/এসআর/পিআর