১০০ মিলিয়ন ইউরোয় টটেনহ্যাম থেকে বেশ ঘটা করেই কিনে নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর গ্যারেথ বেলের নামই হয়ে গিয়েছিল, হান্ড্রেড মিলিয়ন ম্যান। কিন্তু দামের সঙ্গে মানের খুব একটা সংযোগ ঘটাতে পারেননি তিনি। ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয়ই দিয়ে গেছেন শুধু। অবশেষে ব্যর্থ এই ফুটবলারের সঙ্গে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে, তা খুবই ভয়ঙ্কর পর্যায়ের। এমনকি জিদান বেলকে বলেও দিয়েছেন, রিয়ালে তাকে আর একদিনও দেখতে চান না তিনি। জিদানের সঙ্গে বেলের সম্পর্ক যে একেবারে তলানিতে, তার বড় প্রমাণ পাওয়া গেল আমেরিকার হাউস্টনে। রিয়ার কোচ সেখানে বলে দিলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি বেল রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ে তত ভালো। এমনকি আগামীকালই যদি সে চলে যেতে পারে, তাহলে কথাই নেই।’
Advertisement
রিয়ালের এই তারকা ফুটবলারকে নিয়ে কোচ জিদানের এমন মন্তব্যে বেশ ঝড় উঠে গেছে ইউরোপের ফুটবলাঙ্গনে। জিদানের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বেলের এজেন্টও। যিনি জিদানকে ‘কলঙ্কিত’ পর্যন্ত বলতে দ্বীধা করেননি।
হাউস্টনে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জিদানকে পড়তে হয় বেলকে নিয়ে প্রশ্নের সামনে। কেন ওয়েলশ তারকা এই ম্যাচে খেলেননি, প্রশ্ন ছিল সেটাই?
রিয়াল কোচ জিদানের সাফ জবাব, ‘গ্যারেথ এই ম্যাচে খেলেনি কারণ, ও ক্লাব ছাড়ার খুব কাছে পৌঁছে গেছে। আশা করব, ও খুব তাড়াতাড়ি ক্লাব ছাড়ুক। আগামীকাল হলে আগামীকালই। সবার জন্যই সেটা ভালো হবে। আমরা এখন দেখছি, ওকে অন্য কোন ক্লাবে ট্রান্সফার দেওয়া যায়।’
Advertisement
জিদানের সঙ্গে বেলের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা-কল্পা ছিল অনেক আগে থেকেই। গত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলো লিখতে শুরু করে, ‘বেল রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়বেন এবার।’ কিন্তু বেল নিজে তখন বলেছিলেন, ‘আমি নিজে ছাড়তে চাই না। দলের মধ্যে ঢোকার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।’ কিন্তু সে সুযোগ যে আর তিনি পাচ্ছেন না, তা বলাই বাহুল্য।
জিদান অবশ্য পরিস্থিতি হাল্কা করতে বলেছেন, ‘গ্যারেথের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা নেই; কিন্তু এমন কিছু সময় আসে যখন কিছু কাজ করতে হয়, কারণ, সেই কাজটা তখন করা দরকার। আমাকে সিদ্ধান্তটা নিতেই হবে। আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।’
একই সেঙ্গ জিদান এটাও জুড়ে দিয়েছেন, ‘কোনও খেলোয়াড়ের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত কোচের, আবার সেই খেলোয়াড়েরও। যারা পরিস্থিতিটা জানে। এ পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। সেটা জানি না ২৪ না ৪৮ ঘণ্টায়; কিন্তু ব্যাপারটা মিটে যাবে। আর সেটা সবার জন্যই ভালো হবে।’
আইএইচএস/পিআর
Advertisement