ভারতের ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনির ঘটনা থামছেই না। ২১ জুন জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান না বলার জন্য সরাইকেলায় তবরেজ আনসারি নামে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। তার এক মাস পেরোতে না পেরোতেই গুমলা জেলার নগর সিসকারি গ্রামে ডাইনি অপবাদে চার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
নিহতদের নাম সুনা ওরাওঁ (৬৫), পাগনি দেবী (৬০), চাপা ভগত (৬৫) ও পিরি দেবী (৬২)। পিরি দেবী চাপা ভগতের স্ত্রী। এরা সবাই পাশাপাশি থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত তিনটার দিকে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়। চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সুনা ওরাওঁয়ের মেয়ে তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাদের ঘরে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে কয়েক জন। তার বাবাকে টেনে বার করে তারা। তার পর তাদের বাইরে থেকে বন্ধ করে চলে যায়। যারা এসেছিল তারা তাদের পরিচিত নয় বলে সুনার মেয়ে দাবি করেছেন।
Advertisement
এই ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউই এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাইছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে ডাইনি অপবাদে খুনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এ বিষয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে সরকার নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে। বেসরকারি সংগঠনগুলোও এ নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু বারবার একই ঘটনা ঘটায় এই সচেতনতা অভিযান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
টিটিএন/পিআর
Advertisement