দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে ২০ হাজার হেক্টর ফসল পানির নিচে

কুড়িগ্রামে ১২ দিনে বন্যায় প্লাবিত হয়ে আছে জেলার ৫৭টি ইউনিয়নের ৮৯৪টি গ্রাম। পানিবন্দী প্রায় ৮ লাখ মানুষ। রোববার (২‌১ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী থাকায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়ে আছে।

Advertisement

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত পাট, ভুট্টা, আউশ ধান ও বীজতলাসহ শাকসবজি পানিতে ডুবে আছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার জানান, শাকসবজির মধ্যে করলা, পটল, বেগুন, ঝিঙা, লালশাক, ডাটা, পাট, পুঁই, কলমিসহ ১ হাজার ৯৬২ হেক্টর সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ার পথে।

আরও পড়ুন>> পানিতে ভাসছে আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা

সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের দক্ষিণ নওয়াবশ এলাকার সবজি চাষী কালাম ও মকবুল জানান, হঠাৎ করে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় করলা ও পটলক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে দুই একর জমির সবজি ক্ষেত।

Advertisement

একই অবস্থা মোগলবাসা উপজেলার সিতাইঝাড় এলাকার কৃষকদের মধ্যে। এখানে সবজি চাষ করেই লোকজন জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের সবার সবজি ক্ষেত তলিয়ে আছে পানির নিচে।

আরও পড়ুন>> বন্যার্তদের জন্য ঢাবিতে ‘কনসার্ট ফর কুড়িগ্রাম’

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, চলতি বন্যায় জেলার ৩৩ হাজার ১২৭ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১৯ হাজার ৭৩৮ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণটা বের করা যাবে।

নাজমুল হোসেন/এমএসএইচ

Advertisement