দেশের একটা অংশ বন্যার পানিতে ভাসছে। অনাহারে, অর্ধাহারে, বিশুদ্ধ পানির অভাবে গবাদিপশু নিয়ে বসতবাড়ি ছেড়ে মানববেতর জীবনযাপন করছে অনেক মানুষ। আবার একটা অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। দু-এক পশলা বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেশ করছে তারা।
Advertisement
এ অবস্থায় দেশ যেন এক অদ্ভুত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি এলে দেশের আরও অনেক এলাকায় বন্যা বিস্তৃতি হবে। অন্যদিকে বৃষ্টি না থাকায় দাবদাহে ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন।
রোববার (২১ জুলাই) আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা দুর্বল অবস্থায় বিরাজ করছে। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে দেশে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
আর আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের বৃষ্টিতে কখনও এ অঞ্চলে বন্যা কম হয়। উপর থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশে বন্যা পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন > পাঁচ অঞ্চলে বইতে পারে তাপপ্রবাহ
রোববারের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমী বায়ু রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
বর্ষা শুরু হওয়ার পর এসব অঞ্চল থেকে আসা ঢল বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এসব অঞ্চলের পানি বাংলাদেশের নদী-নালা দিয়েই বঙ্গোপসাগরে মেশে। এ পরিস্থিতিও দেশের বন্যা পরিস্থিতির খারাপ দিকে যাওয়ার দিককেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রোববার বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
Advertisement
অন্যদিকে তাপপ্রবাহের বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, যশোর ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দাবদাহের এ-রকম পরিস্থিতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ।
পিডি/বিএ/পিআর