দেশজুড়ে

কক্ষে আটকে শিশুর শ্লীলতাহানি করে বরখাস্ত কলেজের অধ্যক্ষ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিলা কলেজের সেই আলোচিত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পরিষদ। তাকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব কুমার সাহা জানিয়েছেন।

Advertisement

জানা গেছে, গত বছর ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে আটকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ। এ সময় ওই দুই ছাত্রীর চিৎকার শুনে এক ছাত্রীর মা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়।

ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবক এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নজরে গেলে তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন।

পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং মহিলা বিষয়ক অফিসার মিনু পারভীন।

Advertisement

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২৪ জুন মহিলা কলেজ পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখস্ত এবং ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ সেই নোটিশের জবাব দিলে গত ১৬ জুলাই কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ওই সভাতেই তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

রোববার সকালে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বরখাস্তের চিঠি অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদকে পৌঁছে দেয়া হবে বলে তারা জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও একটি মেয়েকে ডেকে নিয়ে ওই অধ্যক্ষ তার কক্ষে আটকে শ্লীলতাহানি করেন। এছাড়া ওই অধ্যক্ষ কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অহরহ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলেও লোকলজ্জায় তারা অভিযোগ করেননি। তবে এসব কারণে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের কলেজ থেকে অন্যত্র নিয়ে গেছেন বলেও স্থানীয়রা জানান।

Advertisement

এসএম এরশাদ/এফএ/জেআইএম