কুড়িগ্রামের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরতে এবং বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে ‘কনসার্ট ফর কুড়িগ্রাম’-এর আয়োজন করছে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি। আগামী ২৭ জুলাই বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
এ বিষয়ে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিব মোহাম্মদ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল কুড়িগ্রাম। দরিদ্র মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার ক্ষমতা কম থাকে। তারা কী পরিমাণ ভোগান্তিতে আছে আমরা সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। খাবারের অভাবে অনেকে কাঁঠাল, লতাপাতা খেয়ে আছে। সাত দিনের বেশি সময় ধরে পানি আটকে আছে। পানি পচে এখন গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। রোগব্যাধি ছড়াতে শুরু করেছে। ওখানকার মানুষ এত বেশি পানি সংকটে আছে যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো একটা অংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবেই মারা যাবে।’
এ রকম পরিপ্রেক্ষিতেও সরকারের মনোযোগ সেভাবে আকর্ষণ করতে পারছে না। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা পাচ্ছে না। এই কনসার্টের মাধ্যমে আমরা সবার মনোযোগ আকর্ষণ ও তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে বলে জানান রকিব মোহাম্মদ হাসান।
এই গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুরের কিছু অংশ বাদে পুরো কুড়িগ্রাম জেলাই বন্যায় প্লাবিত। চর রাজিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, রৌমারী- এগুলো পানির তলায়। এসব জায়গায় বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার জায়গাই নাই। অধিকাংশ মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছে। চরের মানুষ ডাঙায় আসছিল, আবার ডাঙার মানুষ চরে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই রক্ষা পাইতেছে না।’
Advertisement
এই বন্যা পরিস্থিতি সরকারের কাছে গুরুত্ব কম পাচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, ‘এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমরা বন্যার মধ্যে আছি। মানুষজন ভাত খাবে রান্না করে, সেই জায়গাটুকুই নাই।’
পিডি/বিএ/এমএস