দেশজুড়ে

এবার ছেলেধরা সন্দেহে ফুল ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে রাসেল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটক রাসেলের দাবি, তিনি একজন ফুল ব্যবসায়ী।

Advertisement

শনিবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার শিহারচর লালখাঁ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক রাসেল মিয়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের নূর হোসেনের ছেলে। রাজধানীর জুরাইন দারোগা বাড়ি রোডের একটি বাসায় থাকেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লার শিহারচর লালখাঁ এলাকার ডালিম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজাহান গাজীর মেয়ে প্রিয়া (৬) রাতে দোকান থেকে জিনিস কিনে বাসায় ফিরছিল। পথে রাসেল তাকে হাত ধরে সঙ্গে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন রাসেল। এতে ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেনসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের সামনেই রাসেলকে বেদম মারধর করতে থাকে। তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। পরে রাসেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে গণপিটুনির শিকার রাসেলের স্ত্রী নাসিমা বেগম রাত ১১টায় ফতুল্লা মডেল থানায় এসে রাসেলকে শনাক্ত করেন। নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী রাসেল একজন ফুল ব্যবসায়ী। তিনি ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করেন। রাসেল ছেলেধরা নয়। তাকে এলাকাবাসী ভুল বুঝে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করেছে।

Advertisement

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ছেলেধরা সন্দেহে রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয় জনতা। খবর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে জনতার হাত থেকে রাসেলকে উদ্ধার করা হয়। রাসেল সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তবে ছেলেধরা সন্দেহে যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে, প্রকৃতভাবে এটি সে রকম কোনো ঘটনা নয়।

মো. শাহাদাত হোসেন/এমএসএইচ